ফাল্গুনী

আমার কী মনে হচ্ছে জান? যেন ওর মধ্যে সকাল হয়েছে।

যেন ওর ভুরুর মাঝখানে অরুণের আলো খেয়া-নৌকোটির মতো এসে ঠেকেছে।

ওর মনটা ভোরবেলাকার আকাশের মতো চুপ।

এখনই যেন পাখির গানের ঝড় উঠবে — তার আগে সমস্ত থম্‌থমে।

ঐ-যে একটু একটু একতারাতে ঝংকার দিচ্ছে, ওর মন গান গাচ্ছে।

চুপ করো চুপ করো, ঐ গান ধরেছে।

বাউলের গান

হবে জয়, হবে জয়, হবে জয় রে

ওহে বীর, হে নির্ভয়।

জয়ী প্রাণ, চিরপ্রাণ,

জয়ী রে আনন্দগান,

জয়ী প্রেম, জয়ী ক্ষেম,

জয়ী জ্যোতির্ময় রে।

এ আঁধার হবে ক্ষয়, হবে ক্ষয় রে,

ওহে বীর, হে নির্ভয়।

ছাড়ো ঘুম, মেলো চোখ,

অবসাদ দূর হোক,

আশার অরুণালোক

হোক অভ্যুদয় রে॥

ঐ-যে!

চন্দ্রহাস, চন্দ্রহাস!

রোস্‌ রোস্‌, ব্যস্ত হোস্‌ নে — এখনো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না।

না, ও চন্দ্রহাস ছাড়া আর কেউ হতে পারে না।

বাঁচলুম, বাঁচলুম।

এসো এসো চন্দ্রহাস।

এতক্ষণ আমাদের ছেড়ে কী করলে ভাই বলো।

যাকে ধরতে গিয়েছিলে তাকে ধরতে পেরেছ?

চন্দ্রহাস। ধরেছি, তাকে ধরেছি।

কই তাকে তো দেখছি নে।

চন্দ্রহাস। সে আসছে — এখনি আসছে।

কী তুমি দেখলে আমাকে বলো ভাই।