ফাল্গুনী

বালক। ঐ তোমরা যে-বুড়োর খোঁজ করছিলে তাকে।

তাকে দেখেছ নাকি।

বালক। সে বোধ হয় রথে চড়ে গেল।

কোন্‌ দিকে।

বালক। কিছুই ঠাওরাতে পারলুম না। কিন্তু তার চাকার ঘূর্ণিহাওয়ায় এখনো ধুলো উড়ছে।

চল্‌ তবে চল্‌।

শুকনো পাতায় আকাশ ছেয়ে দিয়ে গেছে।

[ প্রস্থান

কোটাল। পাগল! উন্মাদ পাগল!


তৃতীয় দৃশ্যের গীতি-ভূমিকা
প্রবীণের পরাভব
বসন্তের হাসির গান

ওর    ভাব দেখে যে পায় হাসি। হায় হায় রে।

মরণ-আয়োজনের মাঝে

বসে আছেন কিসের কাজে

প্রবীণ প্রাচীন প্রবাসী। হায় হায় রে।

এবার দেশে যাবার দিনে

আপনাকে ও নিক্‌-না চিনে,

সবাই মিলে সাজাও ওকে

নবীন রূপের সন্ন্যাসী। হায় হায় রে।

এবার ওকে মজিয়ে দে রে

হিসাব-ভুলের বিষম ফেরে।

কেড়ে নে ওর থলি-থালি,

আয় রে নিয়ে ফুলের ডালি,

গোপন প্রাণের পাগলাকে ওর

বাইরে দে আজ প্রকাশি। হায় হায় রে॥