ফাল্গুনী
গান

চোখের আলোয় দেখেছিলেম

চোখের বাহিরে।

অন্তরে আজ দেখব, যখন

আলোক নাহি রে।

ধরায় যখন দাও না ধরা

হৃদয় তখন তোমায় ভরা,

এখন তোমার আপন আলোয়

তোমায় চাহি রে।

তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম

খেলার ঘরেতে।

খেলার পুতুল ভেঙে গেছে

প্রলয় ঝড়েতে।

থাক্‌ তবে সেই কেবল খেলা,

হোক-না এখন প্রাণের মেলা —

তারের বীণা ভাঙল, হৃদয় —

বীণায় গাহি রে॥

ঐ বাউলটা চুপ করে বসে থাকে, কথা কয় না, ভালো লাগছে না।

ও কেমন যেন একটা অলক্ষণ।

যেন কালবৈশাখীর প্রথম মেঘ।

দাও ভাই দাও, ওকে বিদায় করে দাও।

না, না, ও বসে আছে তবু একটা ভরসা আছে।

দেখছ না ওর মুখে কিচ্ছু ভয় নেই।

মনে হচ্ছে ওর কপালে যেন কী সব খবর আসছে।

ওর সমস্ত গা যেন অনেক দূরের কাকে দেখতে পাচ্ছে। ওর আঙুলের আগায় চোখ ছড়িয়ে আছে।

ওকে দেখলেই বুঝতে পারি কে আসছে অন্ধকারের ভিতর দিয়ে পথ করে।

ঐ দেখো, জোড়হাত করে উঠে দাঁড়িয়েছে।

পুবের দিকে মুখে করে কাকে প্রণাম করছে।

ওখানে তো কিচ্ছুই নেই — একটু আলোর রেখাও না।

একবার জিজ্ঞাসাই করো-না, ও কী দেখছে — কাকে দেখছে।

না, না এখন ওকে কিছু বোলো না।