প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
একলা করছিল কড়িখেলা
আমার অপমানের সাক্ষী কনি।
দ্বিধা হল না পৃথিবী,
অবিচলিত রইল চার দিকের নির্মম জগৎ।
পরদিন সকালে উঠে দেখি,
সেই কাগজখানা আমার টেবিলে—
শিবরামবাবুর ছবির কাগজ।
এত বড়ো দুঃসাহসের গভীর রসের উৎস কোথায়,
তার মূল্য কত,
সেদিন বুঝতে পারে নি বোকা ছেলে।
ভেবেছিলেম, আমার কাছে কনির
এ শুধু স্পর্ধার বড়াই।
দিনে দিনে বয়স বাড়ছে
আমাদের দুজনের অগোচরে,
তার জন্যে দায়িক নই আমরা।
বয়স - বাড়ার মধ্যে অপরাধ আছে
এ কথা লক্ষ্য করি নি নিজে,
করেছেন শিবরামবাবু।
আমাকে স্নেহ করতেন কনির মা,
তার জবাবে ঝাঁঝিয়ে উঠত তাঁর স্বামীর প্রতিবাদ।
একদিন আমার চেহারা নিয়ে খোঁটা দিয়ে
শিবরামবাবু বলছিলেন তাঁর স্ত্রীকে,
আমার কানে গেল—
“ টুকটুকে আমের মতো ছেলে
পচতে করে না দেরি,
ভিতরে পোকার বাসা। ”
আমার'পরে ওঁর ভাব দেখে
বাবা প্রায় বলতেন রেগে,
“ লক্ষ্মীছাড়া, কেন যাস ওদের বাড়ি। ”