সংযোজন

পাবনায় বাড়ি হবে, গাড়ি গাড়ি ইঁট কিনি,

রাঁধুনিমহল-তরে করোগেট-শীট্‌ কিনি।

ধার ক ' রে মিস্ত্রির সিকি বিল চুকিয়েছি,

পাওনাদারের ভয়ে দিনরাত লুকিয়েছি,

     শেষে দেখি জানলায় লাগে নাকো ছিট্‌কিনি।

দিনরাত দুড়্‌দাড়্‌ কী বিষম শব্দ যে,

তিনটে পাড়ার লোক হয়ে গেল জব্দ যে,

     ঘরের মানুষ করে খিট্‌ খিট্‌ খিট্‌কিনি।

 

কী করি না ভেবে পেয়ে মথুরায় দিনু পাড়ি,

বাজে খরচের ভয়ে আরেকটা পাকাবাড়ি

     বানাবার মতলবে পোড়ো এক ভিট কিনি।

তিনতলা ইমারত শোভা পায় নবাবেরই,

সিঁড়িটা রইল বাকি চিহ্ন সে অভাবেরই,

     তাই নিয়ে গৃহিণীর কী যে নাক-সিট্‌কিনি।


বালিশ নেই, সে ঘুমোতে যায় মাথার নীচে ইঁট দিয়ে।

কাঁথা নেই ; সে প ' ড়ে থাকে রোদের দিকে পিঠ দিয়ে।

শ্বশুর বাড়ি নেমন্তন্ন,       তাড়াতাড়ি তারই জন্য

ছেঁড়া গামছা পরেছে সে   তিনটে-চারটে গিঁঠ দিয়ে।

ভাঙা ছাতার বাঁটখানাতে     ছড়ি ক ' রে চায় বানাতে,

রোদে মাথা সুস্থ করে ঠাণ্ডা জলের ছিট দিয়ে।

হাসির কথা নয় এ মোটে,     খেঁকশেয়ালিই হেসে ওঠে

যখন রাতে পথ করে সে হতভাগার ভিট দিয়ে।