উৎসর্গ

এ বসন্তে প্রিয়া তব পূর্ণিমানিশীথে

নবমল্লিকার মালা জড়াইয়া কেশে

তোমার আকাঙ্ক্ষাদীপ্ত অতৃপ্ত আঁখিতে

যে দৃষ্টি হানিয়াছিল একটি নিমেষে

সে কি রাখ নাই গেঁথে অক্ষয় সংগীতে।

সে কি গেছে পুষ্পচ্যুত সৌরভের দেশে।


ওরে পদ্মা, ওরে মোর রাক্ষসী প্রেয়সী,

লুব্ধ বাহু বাড়াইয়া উচ্ছ্বসি উল্লাসি

আমারে কি পেতে চাস চির আলিঙ্গনে।

শুধু এক মুহূর্তের উন্মত্ত মিলনে

তোর বক্ষোমাঝে চাস করিতে বিলয়

আমার বক্ষের যত সুখ দুঃখ ভয়?

আমিও তো কতদিন ভাবিয়াছি মনে

বসি তোর তটোপান্তে প্রশান্ত নির্জনে,

বাহিরে চঞ্চলা তুই প্রমত্তমুখরা,

শানিত অসির মতো ভীষণ প্রখরা,

অন্তরে নিভৃত স্নিগ্ধ শান্ত সুগম্ভীর —

দীপহীন রুদ্ধদ্বার অর্ধরজনীর

বাসরঘরের মতো নিষুপ্ত নির্জন —

সেথা কার তরে পাতা সুচির শয়ন।


দিয়েছ প্রশ্রয় মোরে, করুণানিলয়,

হে প্রভু, প্রত্যহ মোরে দিয়েছ প্রশ্রয়।

ফিরেছি আপন - মনে আলসে লালসে

বিলাসে আবেশে ভেসে প্রবৃত্তির বশে

নানা পথে, নানা ব্যর্থ কাজে — তুমি তবু

তখনো যে সাথে সাথে ছিলে মোর প্রভু,

আজ তাহা জানি। যে অলস চিন্তা - লতা