যোগাযোগ

নবীন। যাব না? কিন্তু মালপত্র রওনা করব বলে গোরুর গাড়ি ডাকতে বলেছি।

মধুসূদন। থাক্‌ তোমার গোরুর গাড়ি। কেদার!

 

কেদারের প্রবেশ

কেদার। হুজুর!

মধুসূদন। দেওয়ানজিকে বলে দে — নবীন, স্বামীজিকে বকশিশ কত দেওয়া যায়?

নবীন। আপাতত পঁচিশ দিলেই চলবে।

মধুসূদন। কেদার, স্বামীজিকে দেওয়ানজির আপিসে নিয়ে যা, বল্‌ পঞ্চাশ টাকা দক্ষিণা দিতে হবে। স্বামীজি, আবার কিন্তু আসছে রবিবারে অবশ্য অবশ্য আসা চাই, অনেক কথা শোনবার বাকি রইল।

 

[ বেঙ্কটকে নিয়ে কেদারের প্রস্থান

 

নবীন। ওই বেঙ্কটশাস্ত্রীর কথা একটুও বিশ্বাস করি নে দাদা। নিশ্চয় কারও কাছ থেকে খবর নিয়ে এসেছে।

মধুসূদন। ভারি বুদ্ধি তোমার! যেখানে যত মানুষ আছে সক্কলের খবর আগেভাগে জুটিয়ে রাখা! সহজ কথা কিনা!

নবীন। এটাই তো সহজ। মানুষ জন্মাবার আগে কুষ্ঠি লেখা সহজ নয়। ভৃগুমুনি কি কুষ্ঠির হিমালয় পর্বত বানিয়েছেন? বেঙ্কটের ঘরে সেটা ধরলই বা কোথায়!

মধুসূদন। এক আঁচড়ে লক্ষ লক্ষ কথা লিখতে পারতেন তাঁরা।

নবীন। অসম্ভব।

 

রেগে

 

মধুসূদন। অসম্ভব! যা তোমার বুদ্ধিতে কুলোয় না তাই অসম্ভব। ভারি তোমার সায়ান্স! যা যা, আর বকিস নে।

[ নবীনের প্রস্থান

তৃতীয় দৃশ্য

ছাদের এক কোণে শ্যামাসুন্দরী দাঁড়িয়ে দেখছিল

 

মধুসূদনের প্রবেশ

 

মধুসূদন। তুমি কী করছ এত রাত্রে এখানে?

শ্যামাসুন্দরী। শুয়ে ছিলুম। তোমার পায়ের শব্দ শুনে ভয় হল। ভাবলুম বুঝি —

মধুসূদন। আস্পর্ধা বাড়ছে দেখছি। আমার সঙ্গে চালাকি করতে চেয়ো না। সাবধান করে দিচ্ছি!