প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
শ্যামাসুন্দরী। চালাকি করব না ঠাকুরপো। যা দেখতে পাচ্ছি তাতে চোখে ঘুম আসে না। আমরা তো আজ আসি নি, কতকালের সম্বন্ধ। আমরা সইব কী করে?
মধুসূদন। আচ্ছা, থামো। বড়োবউকে পাঠিয়ে দাও আমার শোবার ঘরে।
[ শ্যামাসুন্দরীর প্রস্থান
কুমুদিনীর প্রবেশ
মধুসূদন। এসো, বোসো।
কুমুদিনী সোফায় বসল, মধুসূদন বসল মেঝের উপর পায়ের
কাছে। কুমুদিনী উঠতে যাচ্ছিল। মধুসূদন
হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলে
মধুসূদন। উঠো না, শোনো আমার কথা। আমি এখনি আসছি। বলো তুমি চলে যাবে না।
কুমুদিনী। না, যাব না।
মধুসূদনের প্রস্থান। কুমুদিনীর মৃদুস্বরে গান।
নবীন ও মোতির মাকে নিয়ে মধুসূদনের প্রবেশ
মধুসূদন। শোনো বলি, কাল তোমাদের রজবপুরে যেতে বলেছিলুম, কিন্তু তার দরকার নেই। কাল থেকে বিশেষ করে বড়োবউয়ের সেবায় তোমাকে নিযুক্ত করে দিলুম। এই বলে দিলুম, এখন যাও।
[ উভয়ের প্রস্থান
কাছে এসে
বড়োবউ — তোমার দাদার টেলিগ্রাম এসেছে!
কুমুদিনী চমকে উঠল
আশীর্বাদ জানিয়েছেন, লিখেছেন উদ্বেগের কারণ নেই। বড়োবউ, তুমি কি এখনো আমার উপর রাগ করে আছ?
কুমুদিনী। না, আমার রাগ নেই, একটুও না।
মধুসূদন। তোমার জন্যে কী এনেছি দেখো। তোমার দাদার দেওয়া সেই নীলার আংটি, আমাকে তুমি এই আংটি পরিয়ে দিতে দেবে? ভুল করেছিলুম তোমার হাতের