বাঁশরি
তৃতীয় অঙ্ক
শেষ দৃশ্য
বাঁশরিদের বাড়ি। সতীশ ডেস্কে বসে লিখছে
সুষমার ছোটো বোন সুষীমার প্রবেশ

সতীশ। আমার সঙ্গে বিয়ের সম্বন্ধ পাকা করতে এসেছিস? বরের মুখ-দেখা বুঝি আজ?

সুষীমা। যাও!

সতীশ। যাও কী। বেশিদিনের কথা নয়, তোর বয়স যখন পাঁচ, মাকে জিজ্ঞাসা করিস, আমাকে বিয়ে করতে তোর কী জেদ ছিল। আমি তোকে সোনার বালা গড়িয়ে দিয়েছিলুম, সেটা ভেঙে ব্রোচ তৈরি হয়েছে।

সুষীমা। সতীশদা, কী বকছ তুমি।

সতীশ। আচ্ছা, থাক্‌ তবে, কী জন্যে এসেছিস।

সুষীমা। দিদির বিয়েতে প্রেজেণ্ট্‌ দেব।

সতীশ। সে তো ভালো কথা। কী দিতে চাস।

সুষীমা। এই চামড়ার থলিটা।

সতীশ। ভালো জিনিস, আমারই লোভ হচ্ছে।

সুষীমা। আমি এসেছি বাঁশিদিদির কাছে।

সতীশ। ওখান থেকে কেউ তোকে পাঠিয়ে দিয়েছে?

সুষীমা। না, লুকিয়ে এসেছি, কেউ জানে না। আমার এই থলির উপরে বাঁশিদিদিকে দিয়ে আঁকিয়ে নেব।

সতীশ। বাঁশিদিদি আঁকতে পারে কে বললে তোকে।

সুষীমা। শংকরদাদা। তাঁর কাছে একটা সিগারেট-কেস আছে সেটা বাঁশিদিদির দেওয়া। তার উপরে একজোড়া পায়রা এঁকেছেন নিজের হাতে। চমৎকার!

সতীশ। আচ্ছা, তোর বাঁশিদিদিকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

[ প্রস্থান
বাঁশরির প্রবেশ

বাঁশরি। কী সুষী!

সুষীমা। তোমাকে সতীশদাদা সব বলেছেন?

বাঁশরি। হাঁ বলেছেন। ছবি এঁকে দেব তোর থলির উপর? কী ছবি আঁকব।

সুষীমা। একজোড়া পায়রা, ঠিক যেমন এঁকেছ শংকরদাদার সিগারেট কেসের উপরে।

বাঁশরি। ঠিক তেমনি করেই দেব। কিন্তু কাউকে বলিস নে যে আমি এঁকে দিয়েছি।

সুষীমা। কাউকে না।

বাঁশরি। তোকেও একটা কাজ করতে হবে, নইলে আমি আঁকব না।