বাঁশরি

সুষীমা। বলো কী করতে হবে।

বাঁশরি। সেই সিগারেট-কেসটা আমাকে এনে দিতে হবে।

সুষীমা। তাঁর বুকের পকেটে থাকে। কক‍্খনো আমাকে দেবেন না।

বাঁশরি। আমার নাম করে বলিস দিতেই হবে।

সুষীমা। তুমি তাঁকে দিয়েছ আবার ফিরিয়ে নেবে কী করে।

বাঁশরি। তোমার শংকরদাদাও দেওয়া জিনিস ফিরিয়ে নেন।

সুষীমা। কক‍্খনো না।

বাঁশরি। আচ্ছা, তাঁকে জিজ্ঞাসা করিস আমার নাম ক’রে।

সুষীমা। আচ্ছা করব। আমি যাই, কিন্তু ভুলো না আমার কথা।

বাঁশরি। তুইও ভুলিস না আমার কথা, আর নিয়ে যা এক বাক্স চকোলেট,কাউকে বলিস নে আমি দিয়েছি।

সুষীমা। কেন।

বাঁশরি। মা জানতে পারলে রাগ করবেন।

সুষীমা। কেন।

বাঁশরি। যদি তোর অসুখ করে।

সুষীমা। বলব না, কিন্তু খেতে দেব শংকরদাদাকেও।

[ সুষীমার প্রস্থান
একখানা খাতা হাতে নিয়ে বাঁশরি সোফায় হেলান দিয়ে বসল
লীলার প্রবেশ

বাঁশরি। দেখ্‌ লীলা, মুখ গম্ভীর করে আসিস নে ভাই, তা হলে ঝগড়া হয়ে যাবে। মনে হচ্ছে সান্ত্বনা দেবার কুমতলব আছে, বাদল নামল বলে। দুঃখ আমার সয়, সান্ত্বনা আমার সয় না, সে তোদের জানা। বসেছিলাম গ্রামোফোনে কমিক গান বাজাতে কিন্তু তার চেয়ে কমিক জিনিস নিয়ে পড়েছি।

লীলা। কী বলো তো বাঁশি।

বাঁশরি। ক্ষিতীশের এই গল্পখানা।

লীলা। (খাতাটা তুলে নিয়ে) ‘ভালোবাসার নিলাম’–নামটা চলবে বাজারে।

বাঁশরি। বস্তুটাও। এ জিনিসের কাটতি আছে। পড়তে চাস?

লীলা। না ভাই, সময় নেই, বিয়েবাড়ি সাজাবার জন্যে ডাক পড়েছে।

বাঁশরি। আমি কি সাজাতে পারতুম না!

লীলা। আমার চেয়ে অনেক ভালো পারতিস।

বাঁশরি। ডাকতে সাহস হল না! ভীরু ওরা।

লীলা। তা নয়, লজ্জা হল, কী বলে তোকে ডাকবে।

বাঁশরি। না ডেকেই লজ্জা দিলে আমাকে। ভাবছে আমি অন্নজল ছেড়ে ঘরে দরজা দিয়ে কেঁদে মরছি। ওদের সঙ্গে যখন তোর