পুনশ্চ

    বক্সিদের ফলের বাগান, সেখানে লুকিয়ে যায় জন্তুর মতো।

মার খেয়েছে বিস্তর, জাম খেয়েছে আরো অনেক বেশি।

               বাড়ির লোকে বলে, ‘লজ্জা করে না বাঁদর?'

                     কেন লজ্জা।

          বক্সিদের খোঁড়া ছেলে তো ঠেঙিয়ে ঠেঙিয়ে ফল পাড়ে,

                  ঝুড়ি ভরে নিয়ে যায়,

                     গাছের ডাল যায় ভেঙে,

                         ফল যায় দ'লে —

                            লজ্জা করে না?

 

একদিন পাকড়াশিদের মেজো ছেলে একটা কাঁচ-পরানো চোঙ নিয়ে

             ওকে বললে, ‘দেখ্‌-না ভিতর বাগে। '

  দেখল, নানা রঙ সাজানো,

                 নাড়া দিলেই নতুন হয়ে ওঠে।

      বললে, ‘দে-না ভাই, আমাকে।

             তোকে দেব আমার ঘষা ঝিনুক,

                     কাঁচা আম ছাড়াবি মজা ক'রে —

                            আর দেব আমের কষির বাঁশি। '

 

দিল না ওকে।

      কাজেই চুরি করে আনতে হল।

             ওর লোভ নেই —

         ও কিছু রাখতে চায় না, শুধু দেখতে চায়

                     কী আছে ভিতরে।

      খোদন দাদা কানে মোচড় দিতে দিতে বললে,

                 ‘চুরি করলি কেন। '

             লক্ষ্মীছাড়াটা জবাব করলে,

                  ‘ও কেন দিল না। '

             যেন চুরির আসল দায় পাকড়াশিদের ছেলের।

 

ভয় নেই ঘৃণা নেই ওর দেহটাতে।

         কোলাব্যাঙ তুলে ধরে খপ ক'রে,