পুনশ্চ

                 বাগানে আছে খোঁটা পোঁতার এক গর্ত,

                     তার মধ্যে সেটা পোষে —

                             পোকামাকড় দেয় খেতে।

 

গুবরে পোকা কাগজের বাক্সোয় এনে রাখে,

              খেতে দেয় গোবরের গুটি —

         কেউ ফেলে দিতে গেলে অনর্থ বাধে।

      ইস্কুলে যায় পকেটে নিয়ে কাঠবিড়ালি।

একদিন একটা হেলে সাপ রাখলে মাস্টারের ডেস্কে —

         ভাবলে, ‘দেখিই - না কী করে মাস্টারমশায়। '

ডেক্‌সো খুলেই ভদ্রলোক লাফিয়ে উঠে দিলেন দৌড় —

                 দেখবার মতো দৌড়টা।

           

                একটা কুকুর ছিল ওর পোষা,

                       কুলীনজাতের নয়,

                         একেবারে বঙ্গজ।

                 চেহারা প্রায় মনিবেরই মতো,

                                ব্যবহারটাও।

                         অন্ন জুটত না সব সময়ে,

                               গতি ছিল না চুরি ছাড়া —

        সেই অপকর্মের মুখে তার চতুর্থ পা হয়েছিল খোঁড়া।

              আর, সেইসঙ্গেই কোন্‌ কার্যকারণের যোগে

                     শাসনকর্তাদের শসাখেতের বেড়া গিয়েছিল ভেঙে।

             মনিবের বিছানা ছাড়া কুকুরটার ঘুম হত না রাতে,

                       তাকে নইলে মনিবেরও সেই দশা।

একদিন প্রতিবেশীর বাড়া ভাতে মুখ দিতে গিয়ে

                       তার দেহান্তর ঘটল।

মরণান্তিক দুঃখেও কোনোদিন জল বেরোয় নি যে ছেলের চোখে

         দু দিন সে লুকিয়ে লুকিয়ে কেঁদে কেঁদে বেড়ালো,

                 মুখে অন্নজল রুচল না,

             বক্সিদের বাগানে পেকেছে করম্‌চা —

                     চুরি করতে উৎসাহ হল না।