ছেলেটা

ছেলেটার বয়স হবে বছর দশেক —

                 পরের ঘরে মানুষ।

      যেমন আগাছা বেড়ে ওঠে ভাঙা বেড়ার ধারে —

                     মালীর যত্ন নেই,

                 আছে আলোক বাতাস বৃষ্টি

                     পোকামাকড় ধুলোবালি —

                 কখনো ছাগলে দেয় মুড়িয়ে,

                     কখনো মাড়িয়ে দেয় গোরুতে —

                         তবু মরতে চায় না, শক্ত হয়ে ওঠে,

                                ডাঁটা হয় মোটা,

                        পাতা হয় চিকন সবুজ।

         ছেলেটা কুল পাড়তে গিয়ে গাছের থেকে পড়ে,

                  হাড় ভাঙে,

         বুনো বিষফল খেয়ে ওর ভির্মি লাগে,

রথ দেখতে গিয়ে কোথায় যেতে কোথায় যায়,

                 কিছুতেই কিছু হয় না —

      আধমরা হয়েও বেঁচে ওঠে,

             হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসে

                     কাদা মেখে কাপড় ছিঁড়ে —

         মার খায় দমাদম,

                 গাল খায় অজস্র —

             ছাড়া পেলেই আবার দেয় দৌড়।

 

মরা নদীর বাঁকে দাম জমেছে বিস্তর,

                 বক দাঁড়িয়ে থাকে ধারে,

         দাঁড়কাক বসেছে বৈঁচিগাছের ডালে,

                 আকাশে উড়ে বেড়ায় শঙ্খচিল,

      বড়ো বড়ো বাঁশ পুঁতে জাল পেতেছে জেলে,

             বাঁশের ডগায় বসে আছে মাছরাঙা,

      পাতিহাঁস ডুবে ডুবে গুগলি তোলে।