সে
এলোচুলে — বোধ হল কালো - পাল - তোলা ব্যোমতরী ছুটল কালপুরুষের শ্মশানঘাটে।

হাজার হোক, সৃষ্টিকর্তা পুরুষ তো বটে।

পৌরুষ চাপা রইল না। তাঁর পিছনের দাড়িওয়ালা দুই মুখের চার নাসাফলক উঠল ফুলে, হাঁপিয়ে - ওঠা বিরাট হাপরের মতো। চার নাসারন্ধ্র থেকে একসঙ্গে ঝড় ছুটল আকাশের চার দিককে তাড়না করে। ব্রহ্মাণ্ডে সেই প্রথম ছাড়া পেল দুর্জয়শক্তিমান বেসুরপ্রবাহ — গোঁ - গোঁ গাঁ - গাঁ হুড়্‌মুড়্‌ দুর্দাড়্‌ গড়্‌গড়্‌ ঘড়্‌ঘড়্‌ ঘড়াঙ। গন্ধর্বেরা কাঁধে তম্বুরা নিয়ে দলে দলে দৌড় দিল ইন্দ্রলোকের খিড়কির আঙিনায় যেখানে শচীদেবী স্নানান্তে মন্দারকুঞ্জচ্ছায়ায় পারিজাতকেশরের ধূপধূমে চুল শুকোতে যান। ধরণীদেবী ভয়ে কম্পান্বিতা ; ইষ্টমন্ত্র জপতে জপতে ভাবতে লাগলেন, ভুল করেছি বা। সেই বেসুরো ঝড়ের উল্টোপাল্টা ধাক্কায় কামানের মুখের তপ্ত গোলার মতো ধক্‌ধক্‌ শব্দে বেরিয়ে পড়তে লাগল পুরুষ — কী দাদা, চুপচাপ যে। কথাগুলো মনে লাগছে তো?