প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
ফিরে | ফিরে | আঁখি- | নীরে | পিছু | পানে | চায়। |
পায়ে | পায়ে | বাধা | পড়ে | চলা | হল | দায়। |
এ হল দুই মাত্রার চলন। দুইয়ের গুণফল চার বা আটকেও আমরা এক জাতিরই গণ্য করি।
নয়ন- | ধারায় | পথ সে- | হারায়, | চায় সে | পিছন | পানে, |
চলিতে | চলিতে | চরণ | চলে না, | ব্যথার | বিষম | টানে। |
এ হল তিন মাত্রার চলন। আর–
যতই চলে | চোখের জলে | নয়ন ভরে | ওঠে, |
চরণ বাধে, | পরান কাঁদে, | পিছনে মন | ছোটে। |
এ হল দুই-তিনের যোগে বিষমমাত্রার ছন্দ।
তাহলেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, চলনের ভেদেই ছন্দের প্রকৃতি-ভেদ।
বৈষ্ণবপদাবলীতে বাংলাসাহিত্যে ছন্দের প্রথম ঢেউ ওঠে। কিন্তু দেখা যায়, তার লীলাবৈচিত্র্য সংস্কৃত ছন্দের দীর্ঘহ্রস্ব মাত্রা অবলম্বন করেই প্রধানত প্রকাশ পেয়েছে। প্রাকৃত বাংলায় যত কবিতা আছে তার ছন্দসংখ্যা বেশি নয়। সমমাত্রার ছন্দের দৃষ্টান্ত–
কেন তোরে | আনমন | দেখি। |
কাহে নখে | ক্ষিতিতল | লেখি। |
এ ছাড়া পয়ার এবং ত্রিপদী আছে, সেও সমমাত্রার ছন্দ। অসমমাত্রার অর্থাৎ তিনের ছন্দ চার রকমের পাওয়া যায়
মলিন বদন | ভেল, |
ধীরে ধীরে চলি | গেল। |
আওল রাইর | পাশ। |
কি কহিব জ্ঞান- | দাস॥ ১॥ |
জাগিয়া জাগিয়া | হইল খীন |
অসিত চাঁদের | উদয়দিন॥ ২॥ |
সদাই ধেয়ানে | চাহে মেঘপানে |
না চলে নয়ন- | তারা। |
বিরতি আহারে | রাঙা বাস পরে |
যেমত যোগিনী- | পারা। ৩॥ |