ফাল্গুনী

বরণ-ডালা।

যৌবনেরই ঝড় উঠেছে

আকাশ পাতালে।

নাচের তালের ঝংকারে তার

আমায় মাতালে।

কুড়িয়ে নেবার ঘুচল পেশা,

উড়িয়ে দেবার লাগল নেশা,

আরাম বলে, “ এল আমার

যাবার পালা। ”

কিন্তু সে গেল কোথায়।

বাউল। সে বললে, আমি পথ চেয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারব না। আমি এগিয়ে গিয়ে ধরব। আমি জয় করে আনব।

কিন্তু গেল কোন্‌ দিকে।

বাউল। সেই গুহার মধ্যে চলে গেছে।

সে কী কথা। সে যে ঘোর অন্ধকার।

কোনো খবর না নিয়েই একেবারে —

বাউল। সে নিজেই খবর নিতে গেছে।

ফিরবে কখন।

তুইও যেমন! সে কি আর ফিরবে।

কিন্তু চন্দ্রহাস গেলে আমাদের জীবনের রইল কী।

আমাদের সর্দারের কাছে কী জবাব দেব।

এবার সর্দারও আমাদের ছাড়বে।

যাবার সময় আমাদের কী বলে গেল সে।

বাউল। বললে, আমার জন্যে অপেক্ষা করো, আমি আবার ফিরে আসব।

ফিরে আসবে? কেমন করে জানব।

বাউল। সে তো বললে, আমি জয়ী হয়ে ফিরে আসব।

তা হলে আমরা সমস্ত রাত অপেক্ষা করে থাকব।

বাউল, কোথায় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

বাউল। এই-যে গুহার ভিতর থেকে নদীর জল বেরিয়ে আসছে এরই মুখের কাছে।

ঐ গুহায় কোন্‌ রাস্তা দিয়ে গেল। ওখানে যে কালো খাঁড়ার মতো অন্ধকার।

বাউল। রাত্রের পাখিগুলোর ডানার শব্দ ধরে গেছে।

তুমি সঙ্গে গেলে না কেন।

বাউল। আমাকে তোমাদের আশ্বাস দেবার জন্যে রেখে গেল।