প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
বিরহের রোদন,
ও মোর ভালোবাসার ধন॥
ঐ-যে গুন গুন শব্দ শোনা যাচ্ছে।
শুনছি বটে।
ও তো মধুকরের দল নয়, পাড়ার লোক।
তা হলে দাদা আসছে চৌপদী নিয়ে।
দাদা। সর্দার নাকি।
সর্দার। কী, দাদা।
দাদা। ভালোই হয়েছে। চৌপদীগুলো শুনিয়ে দিই।
না, না, গুলো নয়, গুলো নয়। একটা।
দাদা। আচ্ছা ভাই, ভয় নেই, একটাই হবে।
সূর্য এল পূর্বদ্বারে তূর্য বাজে তার।
রাত্রি বলে, ব্যর্থ নহে এ মৃত্যু আমার,
এত বলি পদপ্রান্তে করে নমস্কার।
ভিক্ষাঝুলি স্বর্ণে ভরি গেল অন্ধকার॥
অর্থাৎ-
আবার অর্থাৎ!
না, এখানে অর্থাৎ চলবে না।
দাদা। এর মানে —
না, মানে না। মানে বুঝব না এই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
দাদা। এমন মরিয়া হয়ে উঠলে কেন।
আজ আমাদের উৎসব।
দাদা। উৎসব নাকি। তা হলে আমি পাড়ায় —
চন্দ্রহাস। না, তোমাকে পাড়ায় যেতে দিচ্ছি নে।
দাদা। আমাকে দরকার আছে না কি।
আছে।
দাদা। আমার চৌপদী —
চন্দ্রহাস। তোমার চৌপদীকে আমরা এমনি রাঙিয়ে দেব যে তার অর্থ আছে কি না আছে বোঝা দায় হবে।
সুতরাং অর্থ না থাকলে মানুষের যে দশা হয় তোমার তাই হবে।
অর্থাৎ পাড়ার লোকে তোমাকে ত্যাগ করবে।
কোটাল তোমাকে বলবে অবোধ।
পণ্ডিত বলবে অর্বাচীন।