প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
রসিক। বিরহী চিঠি লিখতে চলল।
শ্রীশ। অক্ষয়বাবু আছেন বেশ।– রসিকবাবু, ওঁর স্ত্রীই বুঝি বড়ো বোন? তাঁর নাম?
রসিক। পুরবালা।
বিপিন। (নিকটে আসিয়া) কী নাম বললেন?
রসিক। পুরবালা।
বিপিন। তিনিই বুঝি সব চেয়ে বড়ো?
রসিক। হাঁ।
বিপিন। সব ছোটোটির নাম?
রসিক। নীরবালা।
শ্রীশ। আর, নৃপবালা কোন্টি?
রসিক। তিনি নীরবালার বড়ো।
শ্রীশ। তা হলে নৃপবালাই হলেন মেজো।
বিপিন। আর নীরবালা ছোটো।
শ্রীশ। পুরবালার ছোটো নৃপবালা।
বিপিন। তাঁর ছোটো হচ্ছেন নীরবালা।
রসিক। (স্বগত) এরা তো নাম জপ করতে শুরু করলে। আমার মুশকিল। আর তো হিম সহ্য হবে না, পালাবার উপায় করা যাক।
বনমালী। এই-যে, আপনারা এখানে! আমি আপনাদের বাড়ি গিয়েছিলুম।
শ্রীশ। এইবার আপনি এখানে থাকুন, আমরা বাড়ি যাই।
বনমালী। আপনারা সর্বদাই ব্যস্ত দেখতে পাই।
বিপিন। তা, আপনি আমাদের কখনো সুস্থ দেখেন নি– একটু বিশেষ ব্যস্ত হয়েই পড়ি।
বনমালী। পাঁচ মিনিট যদি দাঁড়ান।
শ্রীশ। রসিকবাবু, একটু ঠাণ্ডা বোধ হচ্ছে না?
রসিক। আপনাদের এতক্ষণে বোধ হল, আমার অনেকক্ষণ থেকেই বোধ হচ্ছে।
বনমালী। চলুন-না, ঘরেই চলুন-না!
শ্রীশ। মশায়, এত রাত্রে যদি আমার ঘরে ঢোকেন তা হলে কিন্তু–
বনমালী। যে আজ্ঞে, আপনারা কিছু ব্যস্ত আছেন দেখছি, তা হলে আর-এক সময় হবে।