শ্যামলী

         সাড়া   পড়ল চাকাগুলোয়, চলল গাড়ি।

             গাছপালা, ঘরবাড়ি, পানাপুকুর

          ছুটেছে জানলার দু ধারে পিছনের দিকে —

      পৃথিবী যেন কোথায় কী ফেলে এসেছে ভুলে,

                 ফিরে আর পায় কি - না পায়।

              গাড়ি চলেছে ঘটর ঘটর।

 

      মাঝখানে অকারণে গাড়িটা থামল অনেক ক্ষণ,

      খেতে খেতে খাবার গলায় বেধে যাবার মতো।

                               আবার বাঁশি বাজল,

                     আবার চলল গাড়ি ঘটর ঘটর।

                            শেষে দেখা দিল হাবড়া স্টেশন।

                    চাইলেম না জানালার বাইরে,

                            মনে স্থির করে আছি —

খুঁজতে খুঁজতে আমাকে আবিষ্কার করবে একজন এসে,

                তার পরে দুজনের হাসি।

 

বিয়ের কনে, টোপর - হাতে আত্মীয়স্বজন,

         সবাই গেল চলে।

      কুলি এসে চাইলে মুখের দিকে,

   দেখলে গাড়ির ভিতরটাতে মুখ বাড়িয়ে,

            কিছুই নেই।

যারা কনেকে নিতে এসেছিল গেল চলে।

         যে জনস্রোত এ মুখে আসছিল

                 ফিরল গেটের দিকে।

গট গট করে চলতে চলতে

    গার্ড্‌ আমার জানালার দিকে একটু তাকালে,

          ভাবলে মেয়েটা নামে না কেন।

                   মেয়েটাকে নামতেই হল।

 

এই আগন্তুকের ভিড়ের মধ্যে

     আমি একটিমাত্র খাপছাড়া ।