খেঁদুবাবুর এঁধো পুকুর, মাছ উঠেছে ভেসে;
পদ্মমণি চচ্চড়িতে লঙ্কা দিল ঠেসে।
আপনি এল ব্যাক্‌টিরিয়া, তাকে ডাকা হয় নাই।
হাঁসপাতালের মাখন ঘোষাল বলেছিল, ভয় নাই।
সে বলে, সব বাজে কথা, খাবার জিনিস খাদ্য—
দশ দিনেতেই ঘটিয়ে দিল দশজনারই শ্রাদ্ধ।
শ্রাদ্ধের যে ভোজন হবে কাঁচা তেঁতুল দরকার,
বেগুনমুলোর সন্ধানেতে ছুটল ন্যাড়া সরকার।
বেগুনমুলো পাওয়া যাবে নিলফামারির বাজারে,
নগদ দামে বিক্রি করে তিন টাকা দাম হাজারে।
দুমকাতে লোক পাঠিয়েছিল, বানিয়ে দেবে মুড়কি—
সন্দেহ হয় ওজনমতো মিশল তাতে গুড় কি।
সর্ষে যে চাই মণ দু’তিনেক ঝোলে ঝালে বাটনায়,
কালুবাবু তারই খোঁজে গেলেন ধেয়ে পাটনায়।
বিষম খিদেয় করল চুরি রামছাগলের দুধ,
তারই সঙ্গে মিশিয়ে নিলে গমভাঙানির খুদ।

ওই শোনা যায় রেডিয়োতে বোঁচা গোঁফের হুমকি;

দেশবিদেশে শহরগ্রামে গলা-কাটার ধুম কী।

খাঁচায় পোষা চন্দনাটা ফড়িঙে পেট ভরে;

সকাল থেকে নাম করে গান, হরে কৃষ্ণ হরে।


বালুর চরে আলুহাটা— হাতে বেতের চুপড়ি,
খেতের মধ্যে ঢুকে কালু মুলো নিল উপ্‌ড়ি।
নদীর পাড়ে কিচিরমিচির লাগালো গাঙশালিখ যে,
অকারণে ঢোলক বাজায় মুলোখেতের মালিক যে।
কাঁকুড়খেতে মাচা বাঁধে পিলেওয়ালা ছোকরা,
বাঁশের বনে কঞ্চি কাটে মুচিপাড়ার লোকরা।
পাটনাতে নীলকুঠির গঞ্জে খেয়া চালায় পাট্‌নি,