প্রহাসিনী

নীরস রুটির গ্রাসে না হোক সে ক্ষুণ্ন। '

আরবার কয় কবি,

‘ জয় জয় মাংপবী,

টেবিলে এসেছে নেমে তোমার কারুণ্য।

রুটি বলে জয়-জয়,

লুচিও যে তাই কয়,

মধু যে ঘোষণা করে তোমারই তারুণ্য। '


মাছিতত্ত্ব

মাছিবংশেতে এল অদ্ভুত জ্ঞানী সে

          আজন্ম ধ্যানী সে।

      সাধনের মন্ত্র তাহার

          ভন্‌ভন্‌-ভন্‌ভন্‌কার।

    সংসারে দুই পাখা নিয়ে দুই পক্ষ —

      দক্ষিণ-বাম আর ভক্ষ্য-অভক্ষ্য —

কাঁপাতে কাঁপাতে পাখা সূক্ষ্ম অদৃশ্য

          দ্বৈতবিহীন হয় বিশ্ব।

      সুগন্ধ পচা-গন্ধের

          ভালো মন্দের

      ঘুচে যায় ভেদবোধ-বন্ধন ;

          এক হয় পঙ্ক ও চন্দন।

অঘোরপন্থ সে যে শবাসন-সাধনায়

    ইঁদুর কুকুর হোক কিছুতেই বাধা নাই —

          বসে রয় স্তব্ধ,

    মৌনী সে একমনা নাহি করে শব্দ।

ইড়া পিঙ্গলা বেয়ে অদৃশ্য দীপ্তি

          ব্রহ্মরন্ধ্রে বহি তৃপ্তি।

    লোপ পেয়ে যায় তার আছিত্ব,

             ভুলে যায় মাছিত্ব।