প্রহাসিনী

এইভাবে করা ভালো সন্তোষ-আশ্রয় —

কোনো অভাবেই কভু তার নাহি নাশ রয়।

 

           মধুমৎ পার্থিবং রজঃ

 

শ্যামল আরণ্য মধু বহি এল ডাক-হরকরা —

আজি হতে তিরোহিতা পাণ্ডুবর্ণী বৈলাতী শর্করা

পূর্বাহ্নে পরাহ্নে মোর ভোজনের আয়োজন থেকে ;

এ মধু করিব ভোগ রোটিকার স্তরে স্তরে মেখে।

যে দাক্ষিণ্য-উৎস হতে উৎসারিত এই মধুরতা

রসনার রসযোগে অন্তরে পশিবে তার কথা।

ভেবেছিনু, অকৃতার্থ হয় যদি তোমার প্রয়াস

সস্নেহ আঘাত দিবে তোমারে আমার পরিহাস ;

তখন তো জানি নাই, গিরীন্দ্রের বন্য মধুকরী

তোমার সহায় হয়ে অর্ঘ্যপাত্র দিবে তব ভরি।

দেখিনু, বেদের মন্ত্র সফল হয়েছে তব প্রাণে ;

তোমারে বরিল ধরা মধুময় আশীর্বাদ-দানে।

 

দূর হতে কয় কবি,

‘ জয় জয় মাংপবী,

কমলাকানন তব না হউক শূন্য।

গিরিতটে সমতটে

আজি তব যশ রটে,

আশারে ছাড়ায়ে বাড়ে তব দানপুণ্য।

তোমাদের বনময়

অফুরান যেন রয়

মৌচাক-রচনায় চিরনৈপুণ্য।

কবি প্রাতরাশে তার

না করুক মুখভার,