প্রহাসিনী

      দায়ে পড়ে তাই

লুচি-পাউরুটিগুলো গুড় দিয়ে খাই ;

      বিমর্ষমুখে বলি ‘ গুড়ং দদ্যাৎ ',

    সে যেন গদ্যের দেশে আসি পদ্যাৎ।

খালি বোতলের পানে চেয়ে চেয়ে চিত্ত

      নিশ্বাস ফেলে বলে, সকলই অনিত্য।

সম্ভব হয় যদি এ বোতলটারে

      পূর্ণতা এনে দিতে পারে

    দূর হতে তোমার আতিথ্য।

গৌড়ী গদ্য হতে মধুময় পদ্য

      দর্শন দিতে পারে সদ্য।

 

তল্লাস করেছিনু, হেথাকার বৃক্ষের

চারি দিকে লক্ষণ মধু-দুর্ভিক্ষের।

মৌমাছি বলবান পাহাড়ের ঠাণ্ডার,

সেখানেও সম্প্রতি ক্ষীণ মধুভাণ্ডার —

হেন দুঃসংবাদ পাওয়া গেছে চিঠিতে।

এ বছর বৃথা যাবে মধুলোভ মিটিতে।

তবু কাল মধু-লাগি করেছিনু দরবার,

আজ ভাবি অর্থ কি আছে দাবি করবার।

মৌচাক-রচনায় সুনিপুণ যাহারা

  তুমি শুধু ভেদ কর তাহাদের পাহারা।

মৌমাছি কৃপণতা করে যদি গোড়াতেই,

জাস্তি না মেলে তবু খুশি রব থোড়াতেই।

তাও কভু সম্ভব না হয় যদিস্যাৎ

তা হলে তো অবশেষে শুধু গুড় দদ্যাৎ।

অনুরোধ না মিটুক মনে নাহি ক্ষোভ নিয়ো,

দুর্লভ হলে মধু গুড় হয় লোভনীয়।

মধুতে যা ভিটামিন কম বটে গুড়ে তা,

পূরণ করিয়া লব টমেটোয় জুড়ে তা।