প্রহাসিনী

তবু আজও রক্ষা আছে, পবিত্র এ দেশে

      অসংখ্য জন্মেছে মেয়ে পুরুষের বেশে।

মন্দির রাঙায় তারা জীবরক্তপাতে,

      সে-রক্তের ফোঁটা দেয় সন্তানের মাথে।

            কিন্তু, যবে ছাড়ে নাড়ী

ভিড় ক ' রে আসে দ্বারে ডাক্তারের গাড়ি।

      অঞ্জলি ভরিয়া পূজা নেন সরস্বতী,

পরীক্ষা দেবার বেলা নোটবুক ছাড়া নেই গতি।

      পুরুষের বিদ্যে নিয়ে কলেজে চলেছে যত নারী

           এই ফল তারই।

মেয়েদের বুদ্ধি নিয়ে পুরুষ যখন ঠাণ্ডা হবে,

           দেশখানা রক্ষা পাবে তবে।

 

বুঝি নে একটা কথা, ভয়ের তাড়ায়

      দিন দেখে তবে যেথা ঘরের বাহিরে পা বাড়ায়

           সেই দেশে দেবতার কুপ্রথা অদ্ভুত,

                 সব চেয়ে অনাচারী সেথা যমদূত।

ভালো লগ্নে বাধা নেই, পাড়ায় পাড়ায় দেয় ডঙ্কা।

      সব দেশ হতে সেথা বেড়ে চলে মরণের সংখ্যা।

 

      বেস্পতিবারের বারবেলা

  এ কাব্য হয়েছে লেখা, সামলাতে পারব কি ঠেলা।


মধুসন্ধায়ী

পাড়ায় কোথাও যদি কোনো মৌচাকে

      একটুকু মধু বাকি থাকে,

যদি তা পাঠাতে পার ডাকে,

      বিলাতি সুগার হতে পাব নিস্তার,

প্রাতরাশে মধুরিমা হবে বিস্তার।

      মধুর অভাব যবে অন্তরে বাজে

‘ গুড়ং দদ্যাৎ ' বাণী বলে কবিরাজে।