প্রহাসিনী

ও-পাড়ার বোসগিন্নি ; চোখা চোখা বচন বানায়ে

স্বামীপুত্র-খাদনের আশা তারে যায় সে জানায়ে।

 

কাপড়ে -জড়ানো পুঁথি কাঁখে

       তিলক কাটিয়া নাকে

           উপস্থিত আচার্যি মশায় —

গিন্নির মধ্যমপুত্র শনির দশায় —

      আটক পড়েছে তার বিয়ে ;

           তাহারই ব্যবস্থা নিয়ে

                 স্বস্ত্যয়নের ফর্দ মস্ত,

কর্তারে লুকিয়ে তারই খরচের হল বন্দোবস্ত।

 

এমনি কাটিয়ে যায় সনাতনী দিনগুলি যত

      চাটুজ্যেমশা ' র অনুমত —

কলহে ও নামজপে, ভবিষ্যৎ জামাতার খোঁজে,

      নেশাখের ব্রাহ্মণের ভোজে।

 

মেয়েরাও বই যদি নিতান্তই পড়ে

       মন যেন একটু না নড়ে।

নূতন বই কি চাই। নূতন পঞ্জিকাখানা কিনে

মাথায় ঠেকায়ে তারে প্রণাম করুক শুভদিনে।

           আর আছে পাঁচালির ছড়া,

বুদ্ধিতে জড়াবে জোরে ন্যাশন্যাল কাল্‌চারের দড়া।

           দুর্গতি দিয়েছে দেখা ; বঙ্গনারী ধরেছে শেমিজ,

      বি. এ. এম. এ. পাস ক'রে ছড়াইছে বীজ

           যুক্তি-মানা ঘোর ম্লেচ্ছতার।

                 ধর্মকর্ম হল ছারখার।

           শীতলামায়ীরে করে হেলা ;

      বসন্তের টিকা নেয় ; ‘ গ্রহণের বেলা

           গঙ্গাস্নানে পাপ নাশে '

           শুনিয়া মূর্খের মতো হাসে।