প্রহাসিনী

মোচাগুলো ঘস্‌ ঘস্‌ কেটে চলে দ্রুত ;

                       চালতারে

                 বিশ্লেষণ করে খরধারে।

বেগুন পটোল আলু খণ্ড খণ্ড হয় সে অগুন্তি।

      তার পরে হাতা বেড়ি খুন্তি ;

           তিন-চার দফা রান্না সে

                 নানা ফরমাশে —

আপিসের, ইস্কুলের, পেট-রোগা রুগির কোনোটা,

সিদ্ধ চাল, সরু চাল, ঢেঁকিছাঁটা, কোনোটা বা মোটা।

                 যবে পাবে ছুটি

বেলা হবে আড়াইটা।        বিড়ালকে দিয়ে কাঁটাকুটি

      পান-দোক্তা মুখে পুরে দিতে যাবে ঘুম ;

ছেলেটা চেঁচায় যদি পিঠে কিল দেবে ধুমাধুম,

                 বলবে “ বজ্জাত ভারি ”।

তার পরে রাত্রে হবে রুটি আর বাসি তরকারি।

 

জনার্দন ঠাকুরের

      পানাপুকুরের

পাড়ের কাছা ঢাকা কলমির শাকে।

      গা ধুয়ে তাহারই এক ফাঁকে,

ঘড়া কাঁখে, গায়েতে জড়ায়ে ভিজে শাড়ি

           ঘন ঘন হাত নাড়ি

খস্‌খস্‌-শব্দ-করা পাতায় বিছানো বাঁশবনে

      রাম নাম জপি মনে মনে

           ঘরে ফিরে যায় দ্রুতপায়ে

      গোধূলির ছম্‌ছমে অন্ধকারছায়ে।

সন্ধেবেলা বিধবা ননদি বসে ছাতে,

            জপমালা ঘোরে হাতে।

বউ তার চুলের জটায়

      চিরুনি-আঁচড় দিয়ে কানে কানে কলঙ্ক রটায়

পাড়াপ্রতিবেশিনীর — কোনো সূত্রে শুনতে সে পেয়ে

      হন্তদন্ত আসে ধেয়ে