প্রহাসিনী

আমরা সে ভুল করব না তো,

      মোদের অন্নকক্ষ

দুই পক্ষেই অপক্ষপাত

      দেবে ক্ষুধার মোক্ষ।

আজো যাঁরা বাঁধন-ছাড়া

      ফুলিয়ে বেড়ান বক্ষ

বিদায়কালে দেব তাঁদের

      আশিস লক্ষ লক্ষ —

“ তাদের ভাগ্যে অবিলম্বে

      জুটুন কারাধ্যক্ষ। ”

এর পরে আর মিল মেলে না

      য র ল ব হ ক্ষ।


নাতবউ

অন্তরে তার যে মধুমাধুরী পুঞ্জিত

             সুপ্রকাশিত সুন্দর হাতে সন্দেশে।

লুব্ধ কবির চিত্ত গভীর গুঞ্জিত,

             মত্ত মধুপ মিষ্টরসের গন্ধে সে।

দাদামশায়ের মন ভুলাইল নাতিত্বে

প্রবাসবাসের অবকাশ ভরি আতিথ্যে,

             সে কথাটি কবি গাঁথি রাখে এই ছন্দে সে।

 

সযতনে যবে সূর্যমুখীর অর্ঘ্যটি

             আনে নিশান্তে, সেও নিতান্ত মন্দ না।

এও ভালো যবে ঘরের কোণের স্বর্গটি

             মুখরিত করি তানে মানে করে বন্দনা।

তবু আরো বেশি ভালো বলি শুভাদৃষ্টকে

থালাখানি যবে ভরি স্বরচিত পিষ্টকে

              মোদক-লোভিত মুগ্ধ নয়ন নন্দে সে।

 

প্রভাতবেলায় নিরালা নীরব অঙ্গনে