প্রহাসিনী

             দেখেছি তাহারে ছায়া-আলোকের সম্পাতে।

দেখেছি মালাটি গাঁথিছে চামেলি-রঙ্গনে,

             সাজি সাজাইছে গোলাপে জবায় চম্পাতে।

আরো সে করুণ তরুণ তনুর সংগীতে

দেখেছি তাহারে পরিবেশনের ভঙ্গিতে,

             স্মিতমুখী মোর লুচি ও লোভের দ্বন্দ্বে সে।

 

বলো কোন্‌ ছবি রাখিব স্মরণে অঙ্কিত —

             মালতীজড়িত বঙ্কিম বেণীভঙ্গিমা?

দ্রুত অঙ্গুলে সুরশৃঙ্গার ঝংকৃত?

             শুভ্র শাড়ির প্রান্তধারার রঙ্গিমা?

পরিহাসে মোর মৃদু হাসি তার লজ্জিত?

অথবা ডালিটি দাড়িমে আঙুরে সজ্জিত?

             কিম্বা থালিটি থরে থরে ভরা সন্দেশে?


মিষ্টান্বিতা

যে মিষ্টান্ন সাজিয়ে দিলে হাঁড়ির মধ্যে

      শুধুই কেবল ছিল কি তায় শিষ্টতা।

যত্ন করে নিলেম তুলে গাড়ির মধ্যে,

      দূরের থেকেই বুঝেছি তার মিষ্টতা।

সে মিষ্টতা নয় তো কেবল চিনির সৃষ্টি,

      রহস্য তার প্রকাশ পায় যে অন্তরে

তাহার সঙ্গে অদৃশ্য কার মধুর দৃষ্টি

      মিশিয়ে গেছে অশ্রুত কোন্‌ মন্তরে।

বাকি কিছুই রইল না তার ভোজন-অন্তে,

      বহুত তবু রইল বাকি মনটাতে —

এমনি করেই দেব্‌তা পাঠান ভাগ্যবন্তে

      অসীম প্রসাদ সসীম ঘরের কোণটাতে।

সে বর তাঁহার বহন করল যাদের হস্ত

      হঠাৎ তাদের দর্শন পাই সুক্ষণেই —

রঙিন করে তারা প্রাণের উদয় অস্ত,