পলাতকা

      অরূপ হয়ে সে যেন আজ সকল রূপে রূপে

              মিশিয়ে গেল চুপে চুপে।

                   পায়ের শব্দ তার ই

     মর্মরিত পাতায় পাতায় গিয়েছে সঞ্চারি।

                  কানে কানে তারি করুণ বাণী

                  মৌমাছিদের পাখার গুনগুনানি।

 

 

                 মেয়ের নীরব মুখে

         কী দেখে মা, শেল বাজে তার বুকে।

               না-বলা কোন্‌ গোপন কথার মায়া

মঞ্জুলিকার কালো চোখে ঘনিয়ে তোলে জলভরা এক ছায়া ;

              অশ্রু-ভেজা গভীর প্রাণের ব্যথা

         এনে দিল অধরে তার শরৎনিশির স্তব্ধ ব্যাকুলতা।

                   মায়ের মুখে অন্ন রোচে নাকো —

কেঁদে বলে, “ হায় ভগবান, অভাগীরে ফেলে কোথায় থাকো। ”

 

 

          একদা বাপ দুপুরবেলায় ভোজন সাঙ্গ করে

                গুড়গুড়িটার নলটা মুখে ধরে,

               ঘুমের আগে, যেমন চিরাভ্যাস,

          পড়তেছিলেন ইংরেজি এক প্রেমের উপন্যাস।

               মা বললেন, বাতাস করে গায়ে,

               কখনো বা হাত বুলিয়ে পায়ে,

          “ যার খুশি সে নিন্দে করুক, মরুক বিষে জ্বরে

                আমি কিন্তু পারি যেমন করে

             মঞ্জুলিকার দেবই দেব বিয়ে। ”

বাপ বললেন, কঠিন হেসে, “ তোমরা মায়ে ঝিয়ে

এক লগ্নেই বিয়ে কোরো আমার মরার পরে,

     সেই কটা দিন থাকো ধৈর্য ধরে। ”

এই বলে তাঁর গুড়গুড়িতে দিলেন মৃদু টান।

     মা বললেন, “ উঃ কী পাষাণ প্রাণ,