নিষ্কৃতি

মা কেঁদে কয়, “ মঞ্জুলী মোর ওই তো কচি মেয়ে,

     ওর ই সঙ্গে বিয়ে দেবে ?— বয়সে ওর চেয়ে

               পাঁচগুনো সে বড়ো ;

     তাকে দেখে বাছা আমার ভয়েই জড়সড়।

          এমন বিয়ে ঘটতে দেব নাকো। ”

 

 

          বাপ বললে, “ কান্না তোমার রাখো!

পঞ্চাননকে পাওয়া গেছে অনেক দিনের খোঁজে,

          জান না কি মস্ত কুলীন ও যে।

     সমাজে তো উঠতে হবে সেটা কি কেউ ভাব।

          ওকে ছাড়লে পাত্র কোথায় পাব। ”

     মা বললে, “ কেন, ওই যে চাটুজ্যেদের পুলিন,  

               নাই বা হল কুলীন,—

       দেখতে যেমন তেমনি স্বভাবখানি,

        পাস করে ফের পেয়েছে জলপানি,

               সোনার টুকরো ছেলে।

   এক-পাড়াতে থাকে ওরা — ওরই সঙ্গে হেসে খেলে

মেয়ে আমার মানুষ হল ; ওকে যদি বলি আমি আজই

               এক্‌খনি হয় রাজি। ”

 

 

               বাপ বললে, “ থামো,  

               আরে আরে রামোঃ।

          ওরা আছে সমাজের সব তলায়।

          বামুন কি হয় পইতে দিলেই গলায়?

দেখতে শুনতে ভালো হলেই পাত্র হল! রাধে!

          স্ত্রীবুদ্ধি কি শাস্ত্রে বলে সাধে। ”