লেখন

হে অচেনা, তব আঁখিতে আমার

         আঁখি কারে পায় খুঁজি —

যুগান্তরের চেনা চাহনিটি

         আঁধারে লুকানো বুঝি॥                              ১৪৩

 

দখিন হতে আনিলে, বায়ু, ফুলের জাগরণ —

দখিন মুখে ফিরিবে যবে উজাড় হবে বন॥                     ১৪৪

 

          ওগো হংসের পাঁতি,

          শীতপবনের সাথি,

ওড়ার মদিরা পাখায় করিছ পান।

          দুরের স্বপনে মেশা

          নভোনীলিমার নেশা,

বলো, সেই রসে কেমনে ভরিব গান॥                       ১৪৫

 

শিশিরসিক্ত বনমর্মর

          ব্যাকুল করিল কেন।

ভোরের স্বপনে অনামা প্রিয়ার

          কানে-কানে-কথা যেন॥                         ১৪৬

 

দিনান্তের ললাট লেপি

       রক্ত-আলো-চন্দনে

দিগ্‌বধূরা ঢাকিল আঁখি

       শব্দহীন ক্রন্দনে॥                                   ১৪৭

 

নীরব যিনি তাঁহার বাণী নামিলে মোর বাণীতে

তখন আমি তাঁরেও জানি, মোরেও পাই জানিতে॥         ১৪৮

 

কাঁটাতে আমার অপরাধ আছে,

          দোষ নাহি মোর ফুলে।

কাঁটা, ওগো প্রিয়, থাক্‌ মোর কাছে,

          ফুল তুমি নিয়ো তুলে॥                         ১৪৯