প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
দেবতা যে চায় পরিতে গলায়
মানুষের গাঁথা মালা,
মাটির কোলেতে তাই রেখে যায়
আপন ফুলের ডালা॥ ১৩৫
সূর্যপানে চেয়ে ভাবে মল্লিকামুকুল
‘কখন ফুটিবে মোর অত বড়ো ফুল’॥ ১৩৬
সোনার মুকুট ভাসাইয়া দাও
সন্ধ্যা মেঘের তরীতে।
যাও চলে রবি বেশভূষা খুলে
মরণমহেশ্বরের দেউলে
নীরবে প্রণাম করিতে॥ ১৩৭
সন্ধ্যার প্রদীপ মোর রাত্রির তারারে
বন্দে নমস্কারে॥ ১৩৮
শিশিরের মালা গাঁথা শরতের তৃণাগ্রসূচিতে
নিমিষে মিলায়,— তবু নিখিলের মাধুর্যরুচিতে
স্থান তার চিরস্থির ; মণিমালা রাজেন্দ্রের গলে
আছে, তবু নাই সে যে — নিত্য নষ্ট প্রতি পলে পলে॥ ১৩৯
দিবসে যাহারে করিয়াছিলাম হেলা
সেই তো আমার প্রদীপ রাতের বেলা॥ ১৪০
ঝরে-পড়া ফুল আপনার মনে বলে —
‘বসন্ত আর নাই এ ধরণীতলে’॥ ১৪১
বসন্তবায়ু, কুসুমকেশর গেছ কি ভুলি?
নগরের পথে ঘুরিয়া বেড়াও উড়ায়ে ধূলি॥ ১৪২