লেখন

চেয়ে দেখি হোথা তব জানালায়

          স্তিমিত প্রদীপখানি

নিবিড় রাতের নিভৃত বীণায়

          কী বাজায় কী বা জানি॥                            ১৫০

 

পৌরপথের বিরহী তরুর কানে

বাতাস কেন বা বনের বারতা আনে॥                          ১৫১

 

ও যে চেরিফুল তব বনবিহারিণী,

আমার বকুল বলিছে ‘তোমারে চিনি’॥                      ১৫২

 

ধনীর প্রাসাদ বিকট ক্ষুধিত রাহু

বস্তুপিণ্ড-বোঝায় বদ্ধ বাহু।

মনে পড়ে সেই দীনের রিক্ত ঘরে

বাহু বিমুক্ত আলিঙ্গনের তরে॥                                ১৫৩

 

গিরির দুরাশা উড়িবারে

ঘুরে মরে মেঘের আকারে॥                                    ১৫৪

 

দুর হতে যারে পেয়েছি পাশে

কাছের চেয়ে সে কাছেতে আসে॥                              ১৫৫

 

উতল সাগরের অধীর ক্রন্দন

নীরব আকাশের মাগিছে চুম্বন॥                                ১৫৬

 

চাঁদ কহে ‘ শোন্‌

                   শুকতারা,

রজনী যখন

                   হল সারা

যাবার বেলায়

                   কেন শেষে

দেখা দিতে হায়