নদী
পাখি
শিস দিয়ে দিয়ে নাচে।
কোথাও রাখাল ছেলের দলে
খেলা
করিছে গাছের তলে।
কোথাও নিকটে গ্রামের
মাঝে
লোকে ফিরিছে
নানান কাজে।
কোথাও বাধা কিছু নাহি
পথে,
নদী
চলেছে আপন মতে।
পথে
বরষার জলধারা
আসে
চারি দিক
হতে তারা,
নদী
দেখিতে দেখিতে বাড়ে,
এখন
কে রাখে
ধরিয়া তারে।
তাহার দুই
কূলে উঠে ঘাস,
সেথায় যতেক বকের বাস।
সেথা
মহিষের দল থাকে,
তারা
লুটায় নদীর পাঁকে।
যত
বুনো বরা সেথা ফেরে
তারা
দাঁত দিয়ে মাটি চেরে।
সেথা
শেয়াল
লুকায়ে থাকে,
রাতে
হুয়া হুয়া
করে ডাকে।
দেখে
এইমতো কত দেশ,
কে বা
গনিয়া
করিবে শেষ।
কোথাও কেবল বালির ডাঙা,
কোথাও মাটিগুলো রাঙা রাঙা,
কোথাও ধারে ধারে উঠে বেত,
কোথাও দুধারে গমের খেত।
কোথাও ছোটোখাটো গ্রামখানি,
কোথাও মাথা তোলে রাজধানী —
সেথায়
নবাবের বড়ো কোঠা,
তারি
পাথরের থাম
মোটা।
তারি
ঘাটের সোপান যত,