নদী
জল
গরজি গরজি ধায়,
যেন
আকাশ কাড়িতে চায়।
বায়ু
কোথা হতে আসে ছুটে,
ঢেউয়ে হাহা ক’রে পড়ে লুটে।
যেন
পাঠশালা - ছাড়া ছেলে
ছুটে
লাফায়ে বেড়ায় খেলে।
হেথা
যতদূর পানে
চাই
কোথাও কিছু নাই, কিছু নাই।
শুধু
আকাশ বাতাস জল,
শুধুই কলকল
কোলাহল,
শুধু
ফেনা আর শুধু ঢেউ —
আর
নাহি কিছু
নাহি কেউ।
হেথায় ফুরাইল সব দেশ,
নদীর ভ্রমণ
হইল শেষ।
হেথা
সারাদিন সারাবেলা
তাহার ফুরাবে না আর খেলা।
তাহার সারাদিন নাচ গান
কভু হবে
নাকো অবসান।
এখন কোথাও
হবে না যেতে,
সাগর নিল তারে বুক
পেতে।
তারে নীল বিছানায় থুয়ে
তাহার কাদামাটি দিবে ধুয়ে।
তারে ফেনার কাপড়ে ঢেকে
,
তারে ঢেউয়ের দোলায়
রেখে,
তার কানে
কানে গেয়ে সুর
তার শ্রম
করি দিবে দূর।
নদী
চিরদিন
চিরনিশি
রবে
অতল আদরে
মিশি।