প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
গণেশ। (ধনঞ্জয়ের প্রতি) ঠাকুর, পাব তো তাঁকে?
ধনঞ্জয়। হাঁ রে, পাবি।
গণেশ। নিশ্চয় করে বলো।
ধনঞ্জয়। পাবি রে।
রণজিৎ। কাকে খুঁজছিস?
গণেশ। এই যে রাজা, ছেড়ে দিতে হবে।
রণজিৎ। কাকে রে?
গণেশ। আমাদের যুবরাজকে। তোমরা তাকে চাও না, আমরা তাকে চাই। আমাদের সবই তোমরা আটক করে রাখবে? ওকেও?
ধনঞ্জয়। মানুষ চিনলি নে, বোকা? ওকে আটক করে এমন সাধ্য আছে কার?
গণেশ। ওকে আমাদের রাজা করে রাখব।
ধনঞ্জয়। রাখবি বৈ কি। ও রাজবেশ পরে আসবে।
তিমিরহৃদ্বিদারণ
জ্বলদগ্নিনিদারুণ,
মরুশ্মশানসঞ্চর,
শংকর শংকর।
ব্রজ্রঘোষবাণী,
রুদ্র শূলপাণি
মৃত্যুসিন্ধুসন্তর,
শংকর শংকর।
নেপথ্যে। মা ডাকে, মা ডাকে। ফিরে আয়, সুমন ফিরে আয়।
বিভূতি। ও কী শুনি? ও কিসের শব্দ?
ধনঞ্জয়। অন্ধকারের বুকের ভিতর খিল্ খিল্ করে হেসে উঠল যে।
বিভূতি। আঃ থামো-না, শব্দটা কোন্ দিকে বলো তো।
নেপথ্যে। জয় হোক, ভৈরব।
বিভূতি। এ তো স্পষ্টই জলস্রোতের শব্দ!
ধনঞ্জয়। নাচ-আরম্ভের প্রথম ডমরুধ্বনি।
বিভূতি। শব্দ বেড়ে উঠছে যে, বেড়ে উঠছে।
কঙ্কর। এ যেন—
নরসিং। বোধ হচ্ছে যেন—
বিভূতি। হাঁ, হাঁ, সন্দেহ নেই। মুক্তধারা ছুটেছে। বাঁধ কে ভাঙলে? কে ভাঙলে? তার নিস্তার নেই।
রণজিৎ। মন্ত্রী, এ কী কাণ্ড?
ধনঞ্জয়। বাঁধ-ভাঙার উৎসবে ডাক পড়েছে।