প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
বাজে রে বাজে ডমরু বাজে
হৃদয়মাঝে হৃদয়মাঝে।
মন্ত্রী। মহারাজ, এ যেন—
রণজিৎ। হাঁ, এ যেন তাঁরই—
মন্ত্রী। তিনি ছাড়া আর তো কারও—
রণজিৎ। এমন সাহস আর কার!
ধনঞ্জয়।
নাচে রে নাচে চরণ নাচে,
প্রাণের কাছে, প্রাণের কাছে।
রণজিৎ। শাস্তি দিতে হয় আমি শাস্তি দেব। কিন্তু এই-সব উন্মত্ত প্রজাদের হাত থেকে—আমার অভিজিৎ দেবতার প্রিয়, দেবতারা তাকে রক্ষা করুন।
গণেশ। প্রভু, ব্যাপার কী হল কিছু তো বুঝতে পারছি নে।
ধনঞ্জয়।
প্রহর জাগে, প্রহরী জাগে—
তারায় তারায় কাঁপন লাগে।
রণজিৎ। ঐ পায়ের শব্দ শুনছি যেন। অভিজিৎ অভিজিৎ!
মন্ত্রী। ঐ যেন আসছেন।
রণজিৎ। এ যে সঞ্জয়! অভিজিৎ কোথায়?
সঞ্জয়। মুক্তধারার স্রোত তাঁকে নিয়ে গেল, আমরা তাঁকে পেলুম না।
রণজিৎ। কী বলছ কুমার।
সঞ্জয়। যুবরাজ মুক্তধারার বাঁধ ভেঙেছেন।
রণজিৎ। বুঝেছি, সেই মুক্তিতে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। সঞ্জয়, তোমাকে কি তিনি সঙ্গে নিয়েছিলেন?
সঞ্জয়। না, কিন্তু আমি মনে বুঝেছিলুম তিনি ঐখানেই যাবেন, আমি গিয়ে অন্ধকারে তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছিলুম, কিন্তু ঐ পর্যন্ত—বাধা দিলেন, আমাকে শেষ পর্যন্ত যেতে দিলেন না।
রণজিৎ। কী হল আর-একটু বলো।
সঞ্জয়। ওই বাঁধের একটা ত্রুটির সন্ধান কী করে তিনি জেনেছিলেন। সেইখানে যন্ত্রাসুরকে তিনি আঘাত করলেন, যন্ত্রাসুর