প্রায়শ্চিত্ত

নিশিদিন চাহে হিয়া

পরান পসারি দিয়া

অধীর চরণ তব বাঁধিয়া ধরি।

 

রামচন্দ্র রায় মাঝে মাঝে বাহবা দিতেছেন, মাঝে মাঝে উৎ কন্ঠিত

হইয়া দ্বারের দিকে চাহিতেছেন

 

রামচন্দ্র। ( দ্বারের কাছে উঠিয়া আসিয়া অনুচরের প্রতি) রমাইয়ের খবর কী?

অনুচর। কিছু তো জানি নে!

রামচন্দ্র। এখনও ফিরল না কেন? ধরা পড়ে নি তো?

অনুচর। হুজুর, বলতে তো পারি নে।

রামচন্দ্র। ( ফিরিয়া আসিয়া আসনে বসিয়া) গাও, গাও, তোমরা গাও! কিন্তু ওটা নয়— একটা জলদ তাল লাগাও!

 

নটীর গান

ভৈরবী। কাওয়ালি

ও যে মানে না মানা।

আঁখি ফিরাইলে বলে, ‘ না, না, না।'

যত বলি ‘ নাই রাতি,

মলিন হয়েছে বাতি,'

মুখপানে চেয়ে বলে, ‘ না, না, না।'

বিধুর বিকল হয়ে খেপা পবনে

ফাগুন করিছে হাহা ফুলের বনে।

আমি যত বলি ‘ তবে

এবার যে যেতে হবে'

দুয়ারে দাঁড়ায়ে বলে, ‘ না, না, না।'

 

রামচন্দ্র। এ কী রকম হল! গান শুনে যে কেবলই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে!

রামমোহনের প্রবেশ

রামমোহন। একবার উঠে আসুন।

রামচন্দ্র। কেন, উঠব কেন?

রামমোহন। শীঘ্র আসুন আর দেরি করবেন না।

রামচন্দ্র। চমৎ কার গান জমেছে— এখন আর বিরক্ত করিস নে।