নটরাজ

চলিতে পথে এল আঁধার রাতি,

নিবিয়া গেল ছিল যে ওর বাতি।

অসুরদলে গগনে রচে কারা,

তাই তো শশী হয়েছে জ্যোতিহারা,

আকাশ ঘেরি ধরিবে যত তারা

কে যেন জেলে কুহেলি-জাল পাতি।

নিবিয়া গেল ছিল যে ওর বাতি।

 

বধূরা যবে সাঁজের জ্যোতি জ্বাল

একটি দীপ উহারে দেওয়া ভালো।

দেবতা যারে বিঘ্ন দিয়ে হানে

তোমরা তারে বাঁচায়ো দয়া দানে

কল্যাণী গো, তোদেরি কল্যাণে

ছুটিয়া যাক্‌ কুস্বপন কালো,—

একটি দীপ উহারে দেওয়া ভালো।

 

গান

 

শিউলি-ফোটা ফুরাল যেই শীতের বনে,

এলে যে সেই শূন্যখনে।

তাই গোপনে সাজিয়ে ডালা

দুখের সুরে বরণমালা

গাঁথি মনে মনে

শূন্য খনে।

দিনের কোলাহলে

ঢাকা সে যে রইবে হৃদয়তলে।

রাতের তারা উঠবে যবে

সুরের মালা বদল হবে

তখন তোমার সনে

মনে মনে।

 

হায় হেমন্তলক্ষ্মী, তোমার নয়ন কেন ঢাকা —