নটরাজ
হেমন্তের প্রবেশ
গান

নমো, নমো, নমো।

তুমি ক্ষুধার্তজন-শরণ্য,

অমৃত-অন্ন-ভোগধন্য

করো অন্তর মম।

হেমন্তেরে বিভল করে কিসে,

চলিতে পথে হারাল কেন দিশে।

যেন রে ওর আলোর স্মৃতিখানি

বিস্মৃতির বাষ্পে নিল টানি,—

কণ্ঠ তাই হারাল তার বাণী,

অশ্রু কাঁপে নয়ন-অনিমিষে।

হেমন্তেরে বিভল করে কিসে।

 

ক্ষণেক তরে লও-না ঘরে ডাকি,

যাত্রা ওর অনেক আছে বাকি।

শিশিরকণা লাগিবে পায়ে পায়ে,

রুক্ষ কেশ কাঁপিবে হিমবায়ে,

আঁধার-করা ঘনবনের ছায়ে

শুষ্ক পাতা রয়েছে পথ ঢাকি।

ক্ষণেক তরে লও-না ঘরে ডাকি।

 

বাসা যে ওর সুদূর হিমাচলে,

শেওলা-ঝোলা তিমির গুহাতলে।

যে পথ বাহি বলাকা যায় ফিরে

সৈকতিনী নদীর তীরে তীরে,

সে পথ দিয়ে ধানের খেত ঘিরে

হিমের ভারে চলিবে পলে পলে।

যেতে যে হবে সুদূর হিমাচলে।