নটরাজ

হিমের ঘন ঘোমটাখানি ধূমল রঙে আঁকা।

সন্ধ্যাপ্রদীপ তোমার হাতে

মলিন হেরি কুয়াশাতে,

কণ্ঠে তোমার বাণী যেন করুণ বাষ্পে মাখা।

ধরার আঁচল ভরে দিলে প্রচুর সোনার ধানে।

দিগঙ্গনার অঙ্গন আজ পূর্ণ তোমার দানে।

আপন দানের আড়ালেতে

রইলে কেন আসন পেতে,

আপনাকে এই কেমন তোমার গোপন করে রাখা।


হেমন্ত

হে হেমন্তলক্ষ্মী, তব চক্ষু কেন রুক্ষ চুলে ঢাকা,

ললাটের চন্দ্রলেখা অযত্নে এমন কেন ম্লান?

হাতে তব সন্ধ্যাদীপ কেন গো আড়াল করে আন

কুয়াশায়? কণ্ঠে বাণী কেন হেন অশ্রুবাষ্পে মাখা

গোধূলিতে আলোতে আঁধারে? দূর হিমশৃঙ্গ ছাড়ি

ওই হেরো রাজহংসশ্রেণী, আকাশে দিয়েছে পাড়ি

উজায়ে উত্তরবায়ুস্রোত, শীতে ক্লিষ্ট ক্লান্ত পাখা

মাগিছে আতিথ্য তব জাহ্নবীর জনশূন্য তটে

প্রচ্ছন্ন কাশের বনে। প্রান্তরসীমায় ছায়াবটে

মৌনব্রত বউ-কথা-কও। গ্রামপথ আঁকাবাঁকা

বেণুতলে পান্থহীন অবলীন অকারণ ত্রাসে,

ক্বচিৎ চকিত-ধূলি অকস্মাৎ পবন উচ্ছ্বাসে।

কেন বলো হৈমন্তিকা, নিজেরে কুণ্ঠিত করে রাখা,

মুখের গুণ্ঠন কেন হিমের ধূমলবর্ণে আঁকা।

 

 

ভরেছ, হেমন্তলক্ষ্মী, ধরার অঞ্জলি পক্ক ধানে।

দিগঙ্গনে দিগঙ্গনা এসেছিল ভিক্ষার সন্ধানে

শীতরিক্ত অরণ্যের শূন্যপথে। বলেছিল ডাকি,