শাপমোচন

তারি বাঁশি ওগো তারি বাঁশি

তারি বাঁশি বাজে হিয়া ভরি।

বাণী নাহি তবু কানে কানে

কী যে শুনি তাহা কেবা জানে।

এই হিয়া-ভরা বেদনাতে

বারি-ছলছল আঁখিপাতে

ছায়া দোলে তারি ছায়া দোলে

ছায়া দোলে দিবানিশি ধরি।

তাপার্ত মন খুঁজে বেড়ায় অনাবৃষ্টিতে তৃষ্ণার জল, বীণা কোলে নিয়ে গান করে—

এসো এসো হে তৃষ্ণার জল,

ভেদ করো কঠিনের বক্ষস্থল,   কলকল ছলছল।

এসো এসো   উৎসস্রোতে   গূঢ় অন্ধকার হতে,

এসো হে নির্মল,   কলকল ছলছল।

রবিকর রহে তব প্রতীক্ষায়,

তুমি যে খেলার সাথি,   সে তোমারে চায়।

তাহারি সোনার তান   তোমাতে জাগাক গান,

এসো হে উজ্জ্বল,   কলকল ছলছল।

হাঁকিছে অশান্ত বায়—

আয় আয় আয়, সে তোমায় খুঁজে যায়।

তাহার মৃদঙ্গরবে   করতালি দিতে হবে,

এসো হে চঞ্চল,   কলকল ছলছল।

অনাবৃষ্টি কোন্‌ মায়াবলে

তোমারে করেছে বন্দী পাষাণশৃঙ্খলে,

ভেঙে নীরসের কারা এসো বন্ধহীন ধারা,

    এসো হে প্রবল,   কলকল ছলছল॥

কেমন করে কমলিকার ছবি এসে পড়ল গান্ধারে রাজ-অন্তঃপুরে। মনে হল,যা হারিয়েছিল এই-জন্মের আড়ালে,তাই যেন ফিরে ধরা দিল অপরূপ স্বপ্নরূপে।

    ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে
    ধরা দিয়েছ যে আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে।
    যে গান তোমার সুরের ধারায় বন্যা জাগায় তারায় তারায়
    মোর আঙিনায় বাজল সে সুর আমার প্রাণের তালে তালে।
    সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে,