শাপমোচন
    স্বপ্নে-ছাওয়া দখিন হাওয়া আমার ফুলের গন্ধে মাতে।
শুভ্র,তুমি করলে বিলোল    আমার প্রাণে রঙের হিলোল;
    মর্মরিত মর্ম আমার জড়ায় তোমার হাসির জালে॥

ছবিখানি দিনের চিন্তা রাতের স্বপ্নের ‘পরে আপন ভূমিকা রচনা করলে।

তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।

ওই যে সুদূর নীহারিকা

যারা করে আছে ভিড়

আকাশের নীড়,

ওই যারা দিনরাত্রি

আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী

গ্রহ তারা রবি,

তুমি কি তাদের মতো সত্য নও—

হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি!

নয়নসম্মুখে তুমি নাই,

নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই।

আজি তাই

শ্যামলে শ্যামল তুমি নীলিমায় নীল।

আমার নিখিল

তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।

নাহি জানি, কেহ নাহি জানে

তব সুর বাজে মোর গানে,

কবির অন্তরে তুমি কবি—

নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি॥

রাজা লিখলেন চিঠি চিত্ররূপিণীর উদ্দেশে। লিখলেন—

কখন দিলে পরায়ে স্বপনে ব্যথার মালা, বরণমালা।

প্রভাতে দেখি জেগে অরুণ মেঘে

বিদায়বাঁশরি বাজে অশ্রুগালা।

গোপনে এসে গেলে,   দেখি নাই আঁখি মেলে।

আঁধারে দুঃখডোরে   বাঁধিলে মোরে,

ভূষণ পরালে বিরহবেদন-ঢালা॥

চিঠি পৌঁছল রাজকন্যার হাতে। অজানার আহ্বানে তার মন হল উতলা। সখীদের নিয়ে বারবার করে পড়লে সেই চিঠি।

দে পড়ে দে আমায় তোরা কী কথা আজ লিখেছে সে,