প্রকল্প সম্বন্ধেপ্রকল্প রূপায়ণেরবীন্দ্র-রচনাবলীজ্ঞাতব্য বিষয়পাঠকের চোখেআমাদের লিখুনডাউনলোডঅন্যান্য রচনা-সম্ভার |
মোর বাণী সব লয় হয়,
পাছে বিনা গানেই বিদায়বেলা লয় হয়॥
স্খলিতচ্ছন্দ সুরসভার অভিশাপে গন্ধর্বের দেহশ্রী হল বিকৃত, অরুণেশ্বর নামে তার জন্ম হল গান্ধাররাজগৃহে।
মধুশ্রী ইন্দ্রাণীর পাদপীঠে মাথা রেখে পড়ে রইল, বললে, “ ঘটিয়ো না বিচ্ছেদ দেবী, গতি হোক আমাদের একই লোকে একই দুঃখভোগে একই অবমাননায়। ”
শচী সকরুণ দৃষ্টিতে ইন্দ্রের পানে তাকালেন। ইন্দ্র বললেন, “তথাস্তু, যাও মর্তে, সেখানে দুঃখ পাবে,
দুঃখ দেবে। সেই দুঃখে ছন্দঃপাতন অপরাধের ক্ষয়। ”
ভরা থাক্ স্মৃতিসুধায়
বিদায়ের পাত্রখানি,
মিলনের উৎসবে তায়
ফিরায়ে দিয়ো আনি।
বিষাদের অশ্রুজলে
নীরবের মর্মতলে
গোপনে উঠুক ফ'লে
হৃদয়ের নূতন বাণী।
যে পথে যেতে হবে
সে পথে তুমি একা,
নয়নে আঁধার রবে
ধেয়ানে আলোকরেখা।
সারাদিন সঙ্গোপনে
সুধারস ঢালবে মনে
পরানের পদ্মবনে
বিরহের বীণাপাণি॥
মধুশ্রী জন্ম নিল মদ্ররাজকুলে, নাম নিল কমলিকা। স্বর্গলোক থেকে যে আত্মবিস্মৃত বিরহবেদনা সঙ্গে এনেছে অরুণেশ্বর, যৌবনে তার তাপ উঠল প্রবল হয়ে।
জাগরণে যায় বিভাবরী,
আঁখি হতে ঘুম নিল হরি।
যার লাগি ফিরি একা একা,
আঁখি পিপাসিত নাহি দেখা,