যোগাযোগ

কুমুদিনী। না।

মধুসূদন। তবে?

কুমুদিনী। ওই পর্যন্তই, আর কোনো কথা নেই।

মধুসূদন। তবে এত লুকোচুরি কেন?

কুমুদিনী। তুমি বুঝতে পারবে না।

 

কুমুদিনীর হাত ধরে ঝাঁকানি দিয়ে

মধুসূদন। অসহ্য তোমার বাড়াবাড়ি!

কুমুদিনী। কী চাও তুমি বুঝিয়ে বলো। তোমাদের চাল আমার অভ্যেস নেই, সে কথা আমি মানি।

নেপথ্য থেকে। আপিসের সাহেব এসে বসে আছে।

[ মধুসূদনের দ্রুত প্রস্থান

 

শ্যামাসুন্দরীর প্রবেশ

 

শ্যামাসুন্দরী। কী বউ, যাচ্ছ কোথায়?

কুমুদিনী। কোনো কথা আছে?

শ্যামাসুন্দরী। এমন কিছু নয়। দেখলুম ঠাকুরপোর মেজাজ কিছু চড়া, ভাবলুম তোমাকে জিজ্ঞাসা করে জানি নতুন প্রণয়ে খটকা বাধল কোন্‌খানটাতে। মনে রেখো বউ, ওর সঙ্গে কিরকম করে বনিয়ে চলতে হয় সে পরামর্শ আমরাই দিতে পারি। বকুল ফুলের ঘরে চলেছ বুঝি? তা যাও, মনটা খোলসা করে এসো গে।

[ কুমুদিনীর প্রস্থান

 

পরের দৃশ্য

স্টেজের নেপথ্যে কুমু। সেই দিকে চেয়ে

 

মোতির মা। এ কী কাণ্ড দিদি! এখানে তুমি?

বেরিয়ে এসে

 

কুমুদিনী। এ বাড়িতে আমি সেজবাতি সাফ করব, ওই ফরাসখানায় আমার স্থান।

মোতির মা। ভালো কাজ নিয়েছ ভাই, এ বাড়ি তুমি আলো করতেই তো এসেছ, কিন্তু সেজন্যে তোমাকে সেজবাতির তদারক করতে হবে না। এখন চলো।

[ কুমুদিনী নিরুত্তর ]