যোগাযোগ

দ্বিতীয় দল।   ফুলগন্ধে আকুল করে,  বাজে বাঁশরি উদাস স্বরে,

                                নিকুঞ্জ প্লাবিত চন্দ্রকরে —

প্রথম দল।    তারি মাঝে   মনোমোহন মিলনমাধুরী,   যুগলমুরতি॥

                আনো আনো ফুলমালা,       দাও দোঁহে বাঁধিয়ে।

দ্বিতীয় দল।   হৃদয়ে পশিবে ফুলপাশ,       অক্ষয় হবে প্রেমবন্ধন,

প্রথম দল।    চিরদিন হেরিব হে,       মনোমোহন মিলনমাধুরী,

                                যুগলমুরতি॥

দাসীর প্রবেশ

 

দাসী। রাজাবাহাদুর খবর পাঠিয়েছেন, তাঁর শরীর ভালো নেই — তিনি সকাল সকাল শোবেন।

মোতির মা। ও মা, সেকি কথা, এখনি।

দাসী। তাঁর হুকুম, আমরা কী করব বলো।

মোতির মা। অত ব্যস্ত হলে চলবে কেন? জামা-গয়নাগুলো খুলতে হবে না? আর-একটুখানি সময় দাও। আচ্ছা, তোমরা আর-একটা গান গাও-না ততক্ষণ।

গীত

মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে,

মধুর মলয়সমীরে মধুর মিলন রটাতে॥

কুহকলেখনী ছুটায়ে   কুসুম তুলিছে ফুটায়ে,

লিখিছে প্রণয়কাহিনী   বিবিধ বরনছটাতে॥

হেরো   পুরানো প্রাচীন ধরণী   হয়েছে শ্যামলবরনী,

যেন   যৌবনপ্রবাহ ছুটেছে কালের শাসন টুটাতে।

পুরানো বিরহ হানিছে,   নবীন মিলন আনিছে,

নবীন বসন্ত আইল নবীন জীবন ফুটাতে॥

বাইরে থেকে

মোতির মা। দিদি, ওরা ডাকতে এসেছে।

 

সাড়া না পেয়ে

ওমা, মূর্ছা গেছে। যা যা, তোরা শীগ্‌গির একটু জল নিয়ে আয়। ভয় নেই দিদি, এই-যে আমি আছি। তোমরা ভিড় কোরো না, এখনি আমি ওঁকে নিয়ে যাচ্ছি। ভয় করিস নে ভাই, ভয় করিস নে।

 

কুমুদিনী উঠে বসল