নয়

ভালোবেসে মন বললে—

    “আমার সব রাজত্ব দিলেম তোমাকে।”

     অবুঝ ইচ্ছাটা করলে অত্যুক্তি ;

      দিতে পারবে কেন?

    সবটার নাগাল পাব কেমন ক'রে?

        ও যে একটা মহাদেশ,

        সাত সমুদ্রে বিচ্ছিন্ন।

    ওখানে বহুদূর নিয়ে একা বিরাজ করছে

        নির্বাক্‌ অনতিক্রমণীয়।

       তার মাথা উঠেছে মেঘে-ঢাকা পাহাড়ের চূড়ায়,

        তার পা নেমেছে আঁধারে-ঢাকা গহ্বরে।

  এ যেন অগম্য গ্রহ এই আমার সত্তা,

  বাষ্প-আবরণে ফাঁক পড়েছে কোণে কোণে,

                   দুরবীনের সন্ধান সেইটুকুতেই।

    যাকে বলতে পারি আমার সবটা,

তার নাম দেওয়া হয়নি,

  তার নকশা শেষ হবে কবে?

     তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ব্যবহারের সম্পর্ক হবে কার?

      নামটা রয়েছে যে-পরিচয়টুকু নিয়ে

  টুকরো-জোড়া - দেওয়া তার রূপ,

অনাবিষ্কৃতের প্রান্ত থেকে সংগ্রহ-করা।

 

  চারি দিকে ব্যর্থ ও সার্থক কামনার

আলোয় ছায়ায় বিকীর্ণ আকাশ।

  সেখান থেকে নানা বেদনার রঙিন ছায়া নামে

    চিত্তভূমিতে ;

     হাওয়ায় লাগে শীত - বসন্তের ছোঁওয়া ;

সেই অদৃশ্যের চঞ্চল লীলা

  কার কাছেই বা স্পষ্ট হল?

     ভাষার অঞ্জলিতে