শেষ সপ্তক

কে ধরতে পারে তাকে?

জীবনভূমির এক প্রান্ত দৃঢ় হয়েছে

       কর্মবৈচিত্র্যের বন্ধুরতায়,

     আর - এক প্রান্তে অচরিতার্থ সাধনা

  বাষ্প হয়ে মেঘায়িত হল শূন্যে,

  মরীচিকা হয়ে আঁকছে ছবি।

 

 

     এই ব্যক্তিজগৎ মানবলোকে দেখা দিল

      জন্মমৃত্যুর সংকীর্ণ সংগমস্থলে।

তার আলোকহীন প্রদেশে

     বৃহৎ অগোচরতায় পুঞ্জিত আছে

   আত্মবিস্মৃত শক্তি,

     মূল্য পায় নি এমন মহিমা ,

  অনঙ্কুরিত সফলতার বীজ মাটির তলায়।

সেখানে আছে ভীরুর লজ্জা,

  প্রচ্ছন্ন আত্মাবমাননা,

  অখ্যাত ইতিহাস ;

  আছে আত্মাভিমানের

  ছদ্মবেশের বহু উপকরণ ;

সেখানে নিগূঢ় নিবিড় কালিমা

  অপেক্ষা করছে মৃত্যুর হাতের মার্জনা।

       এই অপরিণত অপ্রকাশিত আমি,

         এ কার জন্যে, এ কিসের জন্যে?

যা নিয়ে এল কত সূচনা, কত ব্যঞ্জনা,

বহু বেদনায় বাঁধা হতে চলল যার ভাষা,

      পৌঁছল না যা বাণীতে,

  তার ধ্বংস হবে অকস্মাৎ নিরর্থকতার অতলে,

সইবে না সৃষ্টির এই ছেলেমানুষি।

 

অপ্রকাশের পর্দা টেনেই কাজ করেন গুণী ;

     ফুল থাকে কুঁড়ির অবগুণ্ঠনে,