কৈশোরিকা

             হে কৈশোরের প্রিয়া,

ভোরবেলাকার আলোক - আঁধার - লাগা

চলেছিলে তুমি আধ্‌ঘুমো - আধ্‌জাগা

          মোর জীবনের ঘন বনপথ দিয়া।

ছায়ায় ছায়ায় আমি ফিরিতাম একা,

দেখি দেখি করি শুধু হয়েছিল দেখা

      চকিত পায়ের চলার ইশারাখানি।

চুলের গন্ধে ফুলের গন্ধে মিলে

পিছে পিছে তব বাতাসে চিহ্ন দিলে

                   বাসনার রেখা টানি।

 

                   প্রভাত উঠিল ফুটি।

অরুণরাঙিমা দিগন্তে গেল ঘুচে,

শিশিরের কণা কুঁড়ি হতে গেল মুছে,

          গাহিল কুঞ্জ কপোতকপোতী দুটি।

ছায়াবীথি হতে বাহিরে আসিলে ধীরে

ভরা জোয়ারের উচ্ছল নদীতীরে—

          প্রাণকল্লোলে মুখর পল্লিবাটে।

আমি কহিলাম, “ তোমাতে আমাতে চলো,

তরুণ রৌদ্র জলে করে ঝলোমলো—

                   নৌকা রয়েছে ঘাটে। ”

 

                   স্রোতে চলে তরী ভাসি।

জীবনের - স্মৃতি - সঞ্চয় - করা তরী

দিনরজনীর সুখে দুখে গেছে ভরি,

          আছে গানে - গাঁথা কত কান্না ও হাসি।

পেলব প্রাণের প্রথম পসরা নিয়ে

সে তরণী - ' পরে পা ফেলেছ তুমি প্রিয়ে,

          পাশাপাশি সেথা খেয়েছি ঢেউয়ের দোলা।

কখনো বা কথা কয়েছিলে কানে কানে,