বীথিকা

কখনো বা মুখে ছলোছলো দুনয়ানে

                    চেয়েছিলে ভাষা - ভোলা।

 

                   বাতাস লাগিল পালে।

ভাঁটার বেলায় তরী যবে যায় থেমে

অচেনা পুলিনে কবে গিয়েছিলে নেমে

          মলিন ছায়ার ধূসর গোধূলিকালে।

আবার রচিলে নব কুহকের পালা,

সাজালে ডালিতে নূতন বরণমালা,

          নয়নে আনিলে নূতন চেনার হাসি।

কোন্‌ সাগরের অধীর জোয়ার লেগে

আবার নদীর নাড়ী নেচে ওঠে বেগে,

                   আবার চলিনু ভাসি।

 

                   তুমি ভেসে চল সাথে।

চিররূপখানি নবরূপে আসে প্রাণে ;

নানা পরশের মাধুরীর মাঝখানে

          তোমারই সে হাত মিলেছে আমার হাতে।

গোপন গভীর রহস্যে অবিরত

ঋতুতে ঋতুতে সুরের ফসল যত

          ফলায়ে তুলেছে বিস্মিত মোর গীতে।

শুকতারা তব কয়েছিল যে কথারে

সন্ধ্যার আলো সোনার গলায় তারে

                   সকরুণ পূরবীতে।

 

                   চিনি, নাহি চিনি তবু।

প্রতি দিবসের সংসারমাঝে তুমি

স্পর্শ করিয়া আছ যে - মর্তভূমি

          তার আবরণ খসে পড়ে যদি কভু,

তখন তোমার মূরতি দীপ্তিমতী

প্রকাশ করিবে আপন অমরাবতী

          সকল কাজের বিরহের মহাকাশে।